আগের ম্যাচ হেরে অবনমন নিশ্চিত হয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের। অবনমিত হয়েই প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ২২তম ম্যাচে এসে ১ পয়েন্টের দেখা পেয়েছে কমলা জার্সিধারীরা। বিপরীতে টানা দুই জয়ের পর পয়েন্ট হারালো শেখ জামাল। আজ (শনিবার) গোলশূন্য ড্র দিয়ে শেষ হয়েছে দুই দলের ম্যাচটি। তবে এই ম্যাচে সমর্থক ও ফুটবলারদের মারামারি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

২২ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে শেখ জামাল। সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগের রানার্স-আপ হওয়ার দৌড়ে আছে আবাহনী লিমিটেড। দুই দলের বাকি রয়েছে দুটি করে ম্যাচ। ২২ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ দলের মধ্যে ১২তম স্থানে আছে ব্রাদার্স।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু থেকে ব্রাদার্সের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে শেখ জামাল। চতুর্থ মিনিটে ওমর জোবের বাঁ পায়ের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান গোলকিপার মহিউদ্দিন রানু। ১১ মিনিটে এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ডের হেড বাইরের জাল কাঁপালে গোল পাওয়া হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের জন্য চেষ্টা করে যায় শেখ জামাল। কিন্তু গোলের দেখা মিলেনি। টানা চার ম্যাচ পর পয়েন্টের দেখা পেয়েছে গোপিবাগের দলটি।

মাঠেও ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা
ম্যাচের শেষ দিকে মারামারি ঘটনার ঘটে। ফ্রি কিক পায় শেখ জামাল। ফ্রি কিক নেওয়ার সময় সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ব্রাদার্সের নাঈম হোসেন। মেজাজ হারিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে বসেন শেখ জামালের ফজলে রাব্বি। ধাক্কা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাঈম। এটা দেখে দ্রুত নাঈমকে তুলে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন রাব্বি। কিন্তু ওই সময় রাব্বিকে মারতে এগিয়ে আসেন ব্রাদার্সের ফুটবলাররা। এসময় দুই দলের ফুটবলাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

রেফারি ভুবন মোহন তরফদার হলুদ কার্ড দেন শেখ জামালের রাব্বি ও শাকিল আহমেদকে আর ব্রাদার্সের নাঈমকে। খানিক পরই কর্নার পায় শেখ জামাল। কিন্তু কর্নার শেষ না করেই রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ শেখ জামালের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ও অন্য কয়েকজন ফুটবলার রেফারিদের ঘিরে ধরেন মাঠে। এর রেশ গিয়ে পড়ে গ্যালারিতেও।

শেখ জামালের ডিফেন্ডার রেজাউল করিমের সঙ্গে সমর্থকদের হাতাহাতি শুরু হয়। অন্যরাও যোগ দেয় এতে। শেষ পর্যন্ত দুই দলের কর্মকর্তারা মিলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

দিনের অন্য ম্যাচে রহমতগঞ্জ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের ম্যাচটিও গোলশূন্য ড্র হয়েছে।